দাড়ানো অবস্থায় সুন্নাত এগারটি: উভয় পায়ের আঙ্গুল সমূহ কিবলামুখি করে রাখা এবং উভয় পায়ের মাঝখানে 4 আঙ্গুল, ঊর্ধ্বে এক বিঘত পরিমাণ ফাঁ...
দাড়ানো অবস্থায় সুন্নাত এগারটি:
- উভয় পায়ের আঙ্গুল সমূহ কিবলামুখি করে রাখা এবং উভয় পায়ের মাঝখানে 4 আঙ্গুল, ঊর্ধ্বে এক বিঘত পরিমাণ ফাঁকা রাখা
- তাকবীরে তাহরীমার সময় চেহারা কেবলার দিকে রেখে নজর সিজদার জায়গায় রাখা এবং হাত উঠানোর সময় মাথা না ঝুকানো ৷
- উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো ৷ অর্থাৎ উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা কানের লতি পর্যন্ত উঠানো ৷
- হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলসমূহ ও হাতের তালু কিবলামুখী করে রাখা ৷
- আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিকভাবে রাখা অর্থাৎ একেবারে মিলিও না রাখা আবার বেশি ফাঁক ফাঁক করেও না রাখা ৷
- ইমামের তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সাথে সাথে মুক্তাদির তাকবীরে তাহরীমা বলা ৷ অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে মুক্তাদির তাকবীরে তাহরীমা যেন ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে শেষ না হয় ৷ এরূপ হলে মুক্তাদির নামায হবে না ৷
- হাত বাধার সময় ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের পাতার উপর রাখা ৷
- ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা গোলাকার বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরা ৷
- অবশিষ্ট তিন আঙ্গুল বাম হাতের উপর স্বাভাবিকভাবে বিছিয়ে রাখা ৷
- নাভির নিচে হাত বাধা ৷
- ছানা পড়া পড়া ৷
ক্বিরা'আতের সুন্নত সাতটি:
- প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পর পূর্ণ আউযুবিল্লাহ পড়া ৷
- প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা ও সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়া৷
- সুরা ফাতেহার পর সকলের জন্য নিরবে আমিন বলা ৷
- ফজর এবং যোহরের নামাযে ত্বিওয়ালে মুফাসসাল অর্থাৎ লম্বা ক্বিরাআত (সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত ) আসর এবং এশার নামাজে আওসাতে মুফাস্সাল অর্থাৎ মধ্যম ক্বিরাআত(সুরা ত্বারিক থেক লাম -ইয়াকুন পর্যন্ত) এবং মাগরিবে ক্বিসারে মুফাসসাল অর্থাৎ ছোট ক্বিরাআত( সূরা যিযযাল থেকে সূরা নাস পর্যন্ত) থেকে প্রতি রাকাতে যে কোন একটি সূরা বা কোন সময় বড় সূরা থেকে এ পরিমাণ কেরাত পড়া ৷
- ফজরের প্রথম রাক'য়াত দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা লম্বা করা ৷ অন্যান্য ওয়াক্তে উভয় রাকাতে কেরাতের পরিমাণ সমান রাখা উচিত ৷
- ক্বিরাত অত্যন্ত তাড়াতাড়ি বা একেবারে ধীরগতিতে না পড়া ৷ বরং মধ্যম গতিতে পড়া ৷
- ফরজ নামাজের তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়া ৷
COMMENTS